আমাদের সম্পর্কে

আমাদের সম্পর্কে

দামাদ আল আযদী নামক এক ব্যক্তি মক্কায় এসে গুঞ্জন শুনল, “এক লোককে জিনে ধরেছে।” দামাদ আল আযদী ছিল ওঝা, সে জিন তাড়াতে পারত। সে খুবই আন্তরিকভাবে সাহায্যের নিয়্যাতে নবিজির কাছে গিয়ে বলল, “শুনেছি, আপনাকে জিনে ধরেছে। আমি আপনাকে সাহায্য করতে চাই, আপনি যদি চান তো আমি জিন তাড়ানোর ব্যবস্থা করতে পারি।” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একথা শুনে বিরক্ত বা রাগান্বিত কিছুই হলেন না। তিনি খুৎবার দুআ পড়ে ছোট্ট বক্তব্য দিলেন। দুআ শুনে দামাদ আল আযদী মুগ্ধ হয়ে গেল। নবিজিকে অনুরোধ করল দুআটি আবারও পড়ে শোনানোর। নবিজি পুনরায় দুআটি পড়ে শুনালেন। দামাদ তখন বলল, “এমন কথা এর আগে আমি কোনো দিন শুনিনি! কী চমৎকার কথা—যেন সাগরের গভীরে যেয়ে আঘাত হানবে!” এরপর দামাদ আল আযদী ইসলাম গ্রহণ করে নবিজির হাতে বাইয়াত প্রদান করে।

এভাবেই “জিন তাড়াতে এসে” জিনের ওঝা ইসলাম গ্রহণ করে ফেলল।

কাফির-মুশরিকরা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়। কিন্তু আল্লাহ তাঁর নূরকে পূর্ণরূপে উদ্ভাসিত করেন, যদিও কাফিররা তা অপছন্দ করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মক্কায় প্রকাশ্যে ইসলামের দাওয়াত দেওয়া শুরু করেন, কুরাইশরা নানাভাবে সেটার বিরোধিতা করে। নানান অপবাদ দিয়ে মানুষকে তাঁর দাওয়াত থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে। জাদুকর, পাগল, জিনে ধরা, আরও অনেক অপবাদ দিয়ে মানুষকে তাঁর কাছে ভিড়তে দিত না। কিন্তু এগুলোই তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে ধরা দিত। দামাদ আল আযদীর ঘটনা তার একটি জলজ্যান্ত প্রমান।

যুগে যুগে ইবলিসের দোসররা সত্যের দীপ্ত শিখা নিভিয়ে দেবার জন্য চেষ্টার কমতি করেনি। পূর্বসূরিদের মতো বর্তমান কালের অন্ধকারের পথযাত্রীরাও পিছিয়ে নেই তাতে। উম্মাহকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে দেউলিয়া করে সত্যের আলো নিভিয়ে দেবার চেষ্টা করে যাচ্ছে তারাও। সাহিত্যের মাধ্যমে মানুষের মনে গেঁথে দিচ্ছে তাদের ইসলামবিদ্বেষের বিষবাষ্প। 
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা এই সাহিত্যকেই তাদের জন্য বুমেরাং করে দিলেন। এক ঝাঁক নতুন প্রাণ সাহিত্যের মাধ্যমেই সত্যের বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে শুরু করল। সত্যের দীপ্ত শিখা জ্বালাবার শপথ নিয়ে সেই কাফেলায় যুক্ত হলো সন্দীপন। আত্ম-উন্নয়নমূলক, অনুপ্রেরণামূলক, ইতিহাস ও সংশয় নিরসন ইত্যাদি সমসাময়িক বিভিন্ন টপিকসহ আমরা কাজ করে যাচ্ছি কুরআন, হাদীস, তাফসীর ও সালাফদের বিভিন্ন খিদমাত বাংলাভাষী মুসলিমদের হাতে পৌঁছে দিতে। পরিবার ও সন্তান প্রতিপালন সম্পর্কিত জীবনঘনিষ্ঠ বই নিয়েও কাজ করে যাচ্ছি আমরা। শিশুতোষ সাহিত্য নিয়ে সন্দীপনের রয়েছে অনন্য পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টা। 

 

বাংলাভাষী মুসলিমদের কল্যাণে সন্দীপন প্রকাশন-এর এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইন শা আল্লাহ। প্রিয় পাঠক, সত্যের দীপ্ত শিখা জ্বালাবার এই সফরে স্বাগতম আপনাকেও। সন্দীপনের সাথেই থাকুন।