একটা সময়ে আমাদের দেশে ডিভি লটারির বেশ চল ছিল। মানুষ হন্যে হয়ে এই লটারির
পেছনে ছুটত। উদ্দেশ্য আর কিছুই না। স্রেফ ‘আমেরিকা’ নামের একটা দেশে যাওয়া!
আমেরিকা যেন কেবল একটা দেশের নাম নয়। যেন একটা স্বপ্ন! আর তাই সে স্বপ্নকে
একটু ছুঁয়ে দেখার এমন প্রাণান্ত প্রচেষ্টা।
কিন্তু স্বপ্ন তো স্বপ্নই। আমেরিকাকে যারা কাছ থেকে দেখেছেন, বুঝেছেন তারাই
ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারেন—আমেরিকা কতটুকু ‘স্বপ্ন’, আর কতটুকুই বা
‘মোহ’।
আমেরিকার ভেতর-বাহির, এর নাড়ি-নক্ষত্র এসবের খবর সাইয়িদ কুতুব রাহিমাহুল্লাহ
তাঁর ‘আমার দেখা আমেরিকা’ বইতে তুলে এনেছেন। এক বসায় পড়ার উপযোগী এ বইটিতে
আমেরিকার স্বরূপ, চেতনা সবকিছুকেই নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সে হিসেবে
বইটি শুধু একটা ভ্রমণকাহিনি মাত্র নয়, বরং একটি জাতির আত্মিক উপাখ্যান।
বিশ্বসভ্যতার দ্বারে দ্বারে মানবতা, শান্তি-প্রগতি, উদারতা-নৈতিকতা ফেরি করে
বেড়ানো এই দেশটির খোলনলচের অবস্থা জানতে আজই পড়ে ফেলুন ‘আমার দেখা
আমেরিকা’।
Sanim khan –
সাইয়িদ কুতুব রহিমাহুল্লাহ এর লেখা ‘আমার দেখা আমেরিকা’ বইটি পড়লে যেকোনো পাঠক বুঝতে পারবে আমাদের চোখে আমেরিকাকে যেভাবে তুলে ধরা হয় সেই আমেরিকার আসল রুপ। তাদের আত্মাধিকতা ও নৈতিকতা বলতে কিছুই নেই।
হ্যা তবে মাথা ও হাতকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে তাদের গুণ আছে বটে। এক কথায় বলতে গেলে যেসব কাজে উন্নত ও আভিজাত্যের দরকার হয় সেগুলো আমেরিকানদের জন্য নয়।
.
লেখক এই বইটিতে আমেরিকানদের আরো বেশ কিছু দিক নিয়ে আলোচনা করেছে। আপনি পদে পদে দেখতে পাবেন তাদের নৈতিক অধঃপতনের চিহ্ন।
তাদের মধ্যে রয়েগেছে আদিম মানুষের বৈশিষ্ট্য যদিও বিশ্বের সামনে তারা দিয়েছে তাদের অ্যাপ্লাইড সাইন্স বা ব্যবহারিক বিজ্ঞান।
কিন্তু তারা মানুষের নৈতিকতার খাতায় কিছুই সংযোজন করতে পারেনি। তাদের জৈবিক চাহিদার বিবরণও জানতে পারবেন বইটি পড়লে। আমেরিকানদের যৌন জীবন মানুষের কাতারে পড়ার মতো নয়। যদিও সুশীল সমাজ তাদেরকে নিজেদের মডেল মনে করে।
.
বইটি পড়ুন। অপর কে পড়তে দিন। জানুন এবং জানান বিশ্বের সুপার পাওয়ার নামক আমেরিকার আসল চিত্র।