২০১৭ সালে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড-১ এর পাঠকপ্রিয়তার পর নারীবিষয়ক অভিযোগগুলো নিয়ে ২০২০ সালে আসে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড-২। এবার আরও কিছু অভিযোগ নিয়ে একই ধাঁচে এলো ডাবল স্ট্যান্ডার্ড-৩।
বইয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর কয়েকটি সরাসরি ঈমানের সাথে সম্পর্কিত। যেমন কুরআন-হাদিস কীভাবে সংকলন হয়েছে, সেটা জানাটা ঈমানের অংশ। ঠিক কীসের উপর আমরা ঈমান এনেছি, সেটা কতটুকু বিশুদ্ধ, এ ব্যাপারে সংশয় একেবারে ঈমানে গিয়ে কোপ দেয়। যে জান্নাতের স্বপ্ন আমরা দেখি, তার ব্যাপারে সংশয় থাকাটা ঈমানের রোগ। জান্নাতের জীবন্ত চিত্র, তাজা অনুভূতি থাকাটা ঈমানের স্বাদ এনে দেয়। এরকম কিছু মৌলিক বিষয় নিয়ে আলাপ করেছি এবার।
গল্পের ছাঁচে ফেলে যুক্তিতর্কগুলোকে সুস্বাদু করবার সেই চিরচেনা ভঙ্গিতে।গল্পের নায়ক-নায়িকারা বিভিন্ন ক্যাম্পাসের, যাতে এদের মাঝে পাঠক নিজেকে খুঁজে পায়। আমার লেখালেখির আরেকটা উদ্দেশ্য ইসলামের কর্মী তৈরি করা। এই চরিত্রগুলোর মাধ্যমে আমি তরুণদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই তাদের দায়িত্ব। গল্পের নায়ক-নায়িকাদের মতো তারাও যেন নিজ নাগালে আপন সামর্থ্য মোতাবেক দাওয়াতের কাজকে জীবনের মিশন হিসেবে নেয়, এটাই আমার স্বপ্ন। গল্পের মতো করেই কখনও যুক্তি, কখনও আবেগ, কখনও মমতা দিয়ে তারা যেন উদাসীন-সংশয়ী এতিম উম্মাতের উপর নবিওয়ালা জিম্মাদারি আদায় করে, এটাই ওসীয়ত।
বইটি পাঠের শুরুর ‘আপনি’ আর শেষের ‘আপনি’র মাঝে সামান্যতম ফারাকও যদি টের পান, সেটাই বইয়ের সার্থকতা।
Rintia Islam –
ড. শামসুল আরেফিনের লেখা বরাবরই আমার ভালো লাগে। তার “ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ৩” বইটিও হতাশ করে নি। আজকের উম্মাহর পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য আমাদের একটা চিন্তাশীল প্রজন্ম প্রয়োজন। নতুন প্রজন্মের মধ্যে ইসলামকে নিয়ে যে সংশয়ের বীজ আজ ইসলামের শত্রুরা বোপন করে দিয়েছে। এই বইটা সেসকল সংশয়কে নিরসন করবে বলে আশা করি। বইটি নন প্র্যাক্টিসিং বন্ধু-বান্ধবের জন্যও দারুণ একটা উপহার হতে পারে।
saikot –
নাইস বুক।