আব্দুল্লাহ ইবনু উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ “ইসলাম শুরুতে অপরিচিত ছিল, অচিরেই তা আবার শুরুর মত অপরিচিত হয়ে যাবে।”
হাফসার ধারণা, তিনি এও বলেছেন: “সূতরাং এরূপ অপরিচিত অবস্হায়ও যারা ইসলামের উপর কায়েম থাকবে, তাদের জন্য মুবারকবাদ।” জিজ্ঞেস করা হলো, ’গুরাবা’ কারা? তিনি বলেন: “বিভিন্ন গোত্র হতে বের করে দেওয়া লোকেরা।”- (মুসনাদুল মাউসিলী নং- ৪৯৭৫)
এ গুরাবা কারা যাদেরকে প্রিয় নবি সা. দিয়েছেন সুসংবাদ ও মোবারকবাদ। তাদের সম্পর্কে জানতে পড়ুন গুরাবা বইটি।
Aminur Islam Rifat –
আলহামদুলিল্লাহ! বইটি পড়ার তাওফিক হলো। সত্যি বলতে এই বইটি পড়ার পূর্ব পর্যন্ত ‘গুরাবা’ সম্পর্কে আমি কিচ্ছু জানতাম না। জানবই বা কী করে? এসম্পর্কে পূর্বে কিছু জানার সুযোগ হয়নি বা আমি পড়িনি। যাইহোক, বইটি খুব সংক্ষিপ্ত হওয়ায় চট করেই পড়ে ফেলি। ‘গুরাবা’ সম্পর্কে বইয়ে সুন্দর আলোচনা হয়েছে তা পড়লেই বোঝা যাবে। তাছাড়া, এসম্পর্কে এখানে কতটা বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে তা আমি বলতে পারব না। তবে এটা বলা যায় মৌলিক অনেক বিষয় উঠে এসেছে বইটিতে।
.
ছোট এই পুস্তিকাতে ‘গুরাবা’ বলতে আসলে সেইসমস্ত ব্যক্তিবর্গদের চিহ্নিত করা হয়েছে, ‘যারা হেদায়েতের ওপর রয়েছে। সকল প্রকার সন্দেহ ও খায়েশাত থেকে দূরে আছে। যারা অকপটে অনুসরণ করার চেষ্টা করে ইসলামের প্রাথমিক প্রজন্মকে। তারা সুন্নাহ এবং সাহাবিদের অনুসরণ করে। গোমরাহ, মন্দ ও বিদআতি লোকদের থেকে দূরে থাকে।’
.
পাঠ পর্যালোচনা: বইটি যেহেতু অনুদিত তাই অনুবাদের বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমাকে প্রশ্ন করা হয়, এই বইয়ের অনুবাদ কেমন হয়েছে? উত্তরে বলব, অনুবাদ খুবি সাবলীল হয়েছে। তবে বইয়ের কিছু জায়গায় কতক শব্দ দৃষ্টিকটু লেগেছে। (যেমন: খড়কুটোর দল, আনাড়ি প্রভূতি) এগুলোতে অন্য সমার্থক শব্দ ব্যবহার করলে হয়তো উত্তম হতো। তবে সার্বিকভাবে অনুবাদ প্রসংশনীয়। পড়ে সময় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হয়েছিল।
.
প্রিয় উক্তি:
১. নিশ্চিত থাকুন,আপনার তাওহীদ যত বিশুদ্ধ হবে, তাওহীদের চর্চা যত বেশি করবেন, আর এতে আপনি যত বেশি দৃঢ় হবেন, আপনার প্রতি শত্রুতার মাত্রা তত বেশি হবেই।
২. দ্বীনের পথ কণ্টকাকীর্ণ, মসৃণ নয়। কঠিন এক পথ। তবে সেই পথের শেষ এমন জান্নাতে, যার প্রশস্ততা আসমান-জমিনের সমান।
৩. আপনি যেই পথ পছন্দ করবেন সেটাই আপনার জান্নাত-জাহান্নামকে নির্ধারণ করবে। এই পথ আরাম-আয়েশের নয়।
Aminur Islam Rifat –
আলহামদুলিল্লাহ! বইটি পড়ার তাওফিক হলো। সত্যি বলতে এই বইটি পড়ার পূর্ব পর্যন্ত ‘গুরাবা’ সম্পর্কে আমি কিচ্ছু জানতাম না। জানবই বা কী করে? এসম্পর্কে পূর্বে কিছু জানার সুযোগ হয়নি বা আমি পড়িনি। যাইহোক, বইটি খুব সংক্ষিপ্ত হওয়ায় চট করেই পড়ে ফেলি। ‘গুরাবা’ সম্পর্কে বইয়ে সুন্দর আলোচনা হয়েছে তা পড়লেই বোঝা যাবে। তাছাড়া, এসম্পর্কে এখানে কতটা বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে তা আমি বলতে পারব না। তবে এটা বলা যায় মৌলিক অনেক বিষয় উঠে এসেছে বইটিতে।
.
ছোট এই পুস্তিকাতে ‘গুরাবা’ বলতে আসলে সেইসমস্ত ব্যক্তিবর্গদের চিহ্নিত করা হয়েছে, ‘যারা হেদায়েতের ওপর রয়েছে। সকল প্রকার সন্দেহ ও খায়েশাত থেকে দূরে আছে। যারা অকপটে অনুসরণ করার চেষ্টা করে ইসলামের প্রাথমিক প্রজন্মকে। তারা সুন্নাহ এবং সাহাবিদের অনুসরণ করে। গোমরাহ, মন্দ ও বিদআতি লোকদের থেকে দূরে থাকে।’
.
পাঠ পর্যালোচনা: বইটি যেহেতু অনুদিত তাই অনুবাদের বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমাকে প্রশ্ন করা হয়, এই বইয়ের অনুবাদ কেমন হয়েছে? উত্তরে বলব, অনুবাদ খুবি সাবলীল হয়েছে। তবে বইয়ের কিছু জায়গায় কতক শব্দ দৃষ্টিকটু লেগেছে। (যেমন: খড়কুটোর দল, আনাড়ি প্রভূতি) এগুলোতে অন্য সমার্থক শব্দ ব্যবহার করলে হয়তো উত্তম হতো। তবে সার্বিকভাবে অনুবাদ প্রসংশনীয়। পড়ে সময় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হয়েছিল।
.
প্রিয় উক্তি:
১. নিশ্চিত থাকুন,আপনার তাওহীদ যত বিশুদ্ধ হবে, তাওহীদের চর্চা যত বেশি করবেন, আর এতে আপনি যত বেশি দৃঢ় হবেন, আপনার প্রতি শত্রুতার মাত্রা তত বেশি হবেই।
২. দ্বীনের পথ কণ্টকাকীর্ণ, মসৃণ নয়। কঠিন এক পথ। তবে সেই পথের শেষ এমন জান্নাতে, যার প্রশস্ততা আসমান-জমিনের সমান।
৩. আপনি যেই পথ পছন্দ করবেন সেটাই আপনার জান্নাত-জাহান্নামকে নির্ধারণ করবে। এই পথ আরাম-আয়েশের নয়।
Abubakar Siddique –
কিছু ঘটনা এমনও হয়,একই ছাদের নিচে থেকে অবস্থান হয় যোজন যোজন দূরে। মনস্তাত্বিকভাবে।
গুরাবা বলতে আমরা মূলত এরকম সিচুয়েশন ও লোকদেরকে বুঝি “অসংখ্য লোকের মাঝে পরিচয়হীনের মতো”
আরো ভেঙ্গে বললে, কোন লোক যদি ইসলাম নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য তার পুরো পরিবার, কমিউনিটির সাথে সার্ভাইভ করে।তার কাছে মনে হয় পুরো পৃথিবী যেন তার ইসলাম পালনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।তখন তার নিজের কাছে নিজেকে পরিচয়হীন বলে মনে হয়।
এরকম পরিস্থিতিকেই “গুরাবা”বলা হয়।
এছাড়াও কুরআন ও হাদীসের গুরাবা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা পবিত্র কোরআনের অনেক জায়গায় ‘কম সংখ্যক লোক’উল্লেখপূর্বক তাদেরকে সুসংবাদ দিয়েছেন,সফলকাম বলে উল্লেখ করেছেন।মূলত এ আয়াতগুলোর সারকথা হিসেবে ‘গুরাবা’কে উপস্থাপন করা হয়।
বক্ষমান বইটিতে আমরা এ সংশ্লিষ্ট অনেক কিছু জানতে পারবো।
বইটিতে গুরাবাদের পরিস্থিতি, তাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ, গভীর থেকে অনুধাবন, গুরাবাদের চিহ্নিত করতে বিভিন্ন উদাহরণ , তাদের ধৈর্য ও দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।দ্বীন পালনে সচেষ্ট পাঠককে দিকনির্দেশনার যোগান দিবে বইটি ইনশাআল্লাহ।