হিজাব শুধু একটা জামা না। এটা একটা জীবন-পদ্ধতি। যে নারী এটা পরবে, সে তার আদর্শিক পরিচয় মানুষের সামনে তুলে ধরবে। প্রত্যেক মুসলিম মেয়েকে চেনা যায় তার সমুজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব দিয়ে। লজ্জাশীলতা ও উত্তম চরিত্র দিয়ে। আর এসবের বহিঃপ্রকাশ ঘটে হিজাবের মাধ্যমে। পর্দানশীন মেয়েরা এই বার্তা দিয়ে যায় যে, তারা অন্যান্যদের থেকে আলাদা। চিন্তা-চেতনা, চাল-চলন, রুচি ও মননে তারা অনেক উঁচু মাপের। সম্ভ্রান্ত। তাদের জীবনযাত্রা মানুষের জন্যে অনুসরণীয়, অনুকরণীয়।
হিজাবকে পাঠানো হয়েছে আসমানের ওপর থেকে। সে তোমার সার্বক্ষণিক সঙ্গী। তোমার ঈমানি সত্তার পরিচয় বহনকারী। এটা একটা আদর্শিক পরিচয়। তুমি কোন জীবন-দর্শন অনুসারে চলো, তার পরিচয়বাহক। তুমি যে মুসলিম নারী, তার প্রকাশ ঘটে হিজাবের মাধ্যমে। হিজাব তোমার পরিচয়।
Sonia Islam –
“হিজাব আমার পরিচয়”এই বইটি জীবনের মোড় পরিবর্তন এর জন্য অনেক বেশি সহায়ক। একটি মুসলিম নারীর পরিচয় ই হচ্ছে হিজাব। প্রত্যেকটা কথা লেখক এমনভাবে তুলে ধরেছে যে কারো মনে নাড়া দিয়ে উঠবে ইন শা আল্লাহ। ” হিজাব হচ্ছে এমনি একটি বিধান যা ইচ্ছে হলে পড়ব,না ইচ্ছে হলে পড়ব না এমন না।এটা ফরজ বিধান।তবে কয়েক টুকরো মাথায় প্যাঁচালে ই হিজাব হয় না।কয়েকটা বিড়াল মিলে যেমন একটা সিংহের সমান হতে পারে না তেমনি কয়েক টুকরা কাপড় মাথায় প্যাচালে তা হিজাবের অন্তর্ভুক্ত হয় না।”
আমার পড়া বইয়ের পছন্দের তালিকায় এটা অন্যতম একটা বই
Tami Islam Mim –
হিজাব বলতে আমরা শুধু মাথা ঢাকার এক টুকরো কাপড়কেই বুঝি। আমাদের প্রচলিত হিজাব দ্বারা পর্দার কোনো অংশই পরিপূর্ণ হয় না। আমরা অধিকাংশ মানুষই হিজাবের ব্যাপারে অসচেতন। তাই আমাদের সকলের হিজাব আমার পরিচয় বইটি একবার হলেও পড়া উচিত। কেননা বইটি পড়লে আমরা হিজাবের গুরুত্ব এবং শরীয়াহ মোতাবেক আমাদের হিজাব কেমন হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবো ইন শা আল্লাহ্।
Roja Mim –
হিজাব আমার পরিচয় বইটিতে হিজাব নিজেই তার পরিচয় আমাদেরকে দিয়েছে, দিয়েছে কিছু উপদেশ এবং রেখেছে কিছু প্রশ্ন। আল্লাহ্ তায়ালার পক্ষ থেকে আসা নারীকূলের জন্য অমূল্য নিয়ামতের একটি হিজাব। সালাত ও সাওমের মতো অবশ্যপালনীয় নির্দেশিত হিজাবের মর্ম আমরা বুঝতে চেষ্টা করিনি এখনো। আমাদের পরিহিত হিজাব দ্বারা পর্দার এক অংশও পূর্ণ হয় না। তাই আমাদের সকলের উচিত হিজাব আমার পরিচয় বইটি পড়া। ইন শা আল্লাহ্ এতে আমরা সকলেই উপকৃত হবো।
Binte Abdur Razzak –
হিজাব শুধু তিনটি শব্দেই সীমাবদ্ধ নয় বরং এটি আমাদের জীবন পদ্ধতি। হিজাব আমাদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী এবং ঈমানি সত্তার পরিচয় বহনকারী। আমরা যে মুসলিম নারী, তার প্রকাশ ঘটে হিজাবের মাধ্যমে। হিজাবই আমাদের পরিচয়। কিন্তু বর্তমানে আমরা অধিকাংশ মানুষই হিজাবের গুরুত্ব ও মর্যাদা রক্ষায় অসচেতন এবং হিজাবের বিধি-বিধান মানতে অবাধ্য। তাই হিজাব আমার পরিচয় বইটি নিজের পড়া উচিত এবং অন্যদেরকে পড়ার জন্য উৎসাহিত করা উচিত।
Umme binte saleh –
‘হিজাব আমার পরিচয়’ বইটা দ্বীনি পথে আসতে সহায়তা করে। আমি আমার শুরুটা এই বই দিয়েই করেছিলাম। প্রথমে হিজাব পরা শুরু করি। আস্তে আস্তে পুরোপুরিভাবে পর্দা মেইনটেইন করেছি। আলহামদুলিল্লাহ। আর জাযাকাল্লাহু খাইরান লেখক এবং প্রকাশক কে এমন একটা বই আমাদের উপহার দেয়ার জন্য।
Aruba Mabrura –
হিজাব আমার পরিচয়। বইয়ের নামই একজন পরিচ্ছন্ন সত্তার পরিচয় বহন করে। হিজাব শুধু একটি কাপড় নয়, এটি একজন মুসলিমাহর জীবনদর্শনের পরিচয়। ছোট একটা বই হলেও বইটি একজন নারীকে হিজাব পরিধানের প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব খুব সুন্দরভাবে অনুভব করিয়ে দেয়। এই ফিতনাময় দুনিয়ায় হিজাব একজন মুসলিমাহর রক্ষাকবচ এবং সুরক্ষাদ্বার। এটি শুধু দুনিয়ার জীবনের জন্যই উপকারী নয়, বরং হিজাবের কাফেলা এমন এক কাফেলা যা নোঙর করবে দিগন্ত-বিস্তৃত জান্নাতে। কিন্তু আমরা এই হিজাবের উপকারিতার কথা যদি না জানি তবে এই হিজাব পরিণত হবে একজন মুসলিম নারী হিসেবে নিতান্ত এক দায়সারা অভ্যাসে। “হিজাব আমার পরিচয়” বইটিতে লেখক ফুটিয়ে তুলেছে হিজাব শুধু মাথায় চাপিয়ে দেওয়া একটুকরো কাপড় নয় বরং এটি অন্তর দিয়ে অনুভব করার মতো একটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনী নিয়ামত। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার পক্ষ থেকে নারীজাতির জন্যে আসা এক অমূল্য নিয়ামতের মধ্যে একটি।
লেখক এবং প্রকাশককে জাযাকুমুল্লাহু খাইরান ফিদ দুনিয়াহ ওয়াল আখিরাহ; আমাদের মহামূল্যবান একটি বই হাদিয়া দেওয়ার জন্য।
Suriya Metu –
হিজাব মহান আল্লাহ তাআলার নির্দেশ এবং নারী জাতির নিরাপত্তা ও মর্যাদার অন্যতম প্রতীক। ইসলামি শরিয়তও নারীর হিজাবের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছে। নারীর ইজ্জত-আব্রু হেফাজতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে হিজাব। নারীর মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব এতে সমুন্নত এবং সুউচ্চ হয়। নারীর চলাফেরা, পোশাক-পরিচ্ছদ কিংবা সৌন্দর্যের প্রকাশের কারণে যে বিপর্যয় বা ক্ষতি হতে পারে তার সেসব পথ বন্ধ করার জন্যই হিজাব বা পর্দার বিধান দেওয়া হয়েছে। এটা নারীর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হবে এ জন্য নয় বরং নারীকে অন্যের লোলুপ দৃষ্টির ছোবল থেকে রক্ষা করা এবং তার পবিত্রতা ও সৌন্দর্যের মানকে সংরক্ষিত করাই হিজাব বা পর্দার বিধান দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য।
পাঠ্যানুভূতি
বইটি পড়ার পর বইটির প্রতি যে ভালোবাসা বা অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছে তা কলমের দুই শব্দে প্রকাশযোগ্য নয়। তবুও কিছুটা অবশ্যই ব্যক্ত করার সামান্য প্রয়াস করতে চাই। “হিজাব আমার পরিচয়” -এই নামকরণের কারণেই অনেক পাঠকের মত আমিও খুব আকৃষ্ট হয়েছিলাম। বইটি পড়ার পর এক ধরনের প্রশান্তি লাভ করেছি।
Taohida islam Toha –
নিজস্ব কথন: লেখক খুব চমৎকার এবং যৌক্তিক লেখনীর মাধ্যমে ‘হিজাব ‘ কে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন।
হিজাব বলতে আসলে আমরা কি বুঝি?
শুধু ই এক টুকরো কাপড় প্যাচানোকে যদি আমরা হিজাব বলে জানি তাহলে আমরা এক মহা বিভ্রান্তির মধ্যে আছি।
পর্দা করা ফরজ এবং নামাজ রোজা ও অন্যান্য ফরজ গুলো আদায়ে কাফফারা হলেও পর্দার কোন কাফফারা হয় না।
আমরা জানি, বুঝি কিন্তু মানি ক’জনে?
নিত্যদিনের কাজকর্মগুলো আমরা রুটিন মেনে চলি কিন্তু পর্দার ব্যাপারে করি কি কোন রুটিন?
পর্দার ব্যাপারে আমাদের কেন এত উদাসীনতা?
নামাজ পড়তে, রোজা রাখতে, কুরআন পড়তে আমরা ততটাও বাঁধার সম্মুখীন হই না যতটা বাঁধার সম্মুখীন হতে হয় পর্দার বেলায়।
কিন্তু কাটাতারে আঁটকে গেলে আমাদের চলবে না কাঁটাতার ডিঙিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
আমাদের কে এগিয়ে নিতে ই ‘হিজাব’ এর আগমন। লেখকের লেখাগুলো প্রতিটি নারীর মনকে ছুয়ে যাক বাতাসের মতো। আলোকিত করুক প্রতিটি অন্তর।
পর্যালোচনা: বর্তমান প্রেক্ষাপটে অসাধারণ একটি বই, প্রতিটি মুসলিম নারীর বইটা পড়া উচিত। যাতে তারা হিজাবের মূল্যটা হৃদয়ে গেঁথে নিতে পারে।
সানজিদা আফরিন –
সন্দীপন থেকে প্রকাশিত হিজাব আমার পরিচয় বইটি আমার পঠিত সেরা বইগুলোর মধ্যে অন্যতম।বইটি নিয়ে লিখতে বললে, শুরুতেই যেইটা মাথায় আসতেছে বইয়ের লাস্ট পেজের নিজের হিজাবের রেটিং নিজেকে ঠিক করার ১৫ টি প্রশ্ন দেয়া আছে,এইটা আমার সত্যিকারের হিজাব শুরুর ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্ব বহন করেছে।বইটি কিনার পর সূচিপত্রে হিজাবের হিসাব হেডলাইনটাতে চোখ আটকে যায়।হিসব করতে বসে পড়ি।ঠিক মনে পড়ছে না আমার মার্ক কত হয়েছিলো ১১ কি ১২।এরপর আমি বাকিগুলোতে পাস করার জন্য উঠে পরে লাগি।আলহামদুলিল্লাহ আমি পেরেছিলাম। পরিপূর্ণ পর্দা মনে চলি এখন আমি।হিজাব নিয়ে প্রথম এই বইটিই পড়েছি এবং অনেক উপকৃত হয়েছি।আমার বাসায় মেয়ে বয়সি কেউ বেড়াতে আসলে আমি বইটি পড়তে দেই।এই বই পড়ে আমার ফুপির মেয়ে দ্বীনের পথে ফিরে এসেছে এবং পরিপূর্ণ পর্দা করে আলহামদুলিল্লাহ ।আমি বলবো সবারই এই বইটা একবার হলেও পড়া উচিত।
Alifa Ahnaf Aisha –
হিজাব আমার পরিচয়। আলহামদুলিল্লাহ্ এই বইটা নিয়ে বলতে গেলে আমার বলা শেষ হবে না। এই বইটা ছিল আমার জীবনের পড়া প্রথম বই যখন আমি নতুন নতুন দ্বীনে ফেরার এক বছরের মধ্যে এই বইটা পড়েছি বইটা পড়ে ভেবেছি সব কিছু আমাকে নিয়ে লেখা এতো সুন্দর প্রতিটা কথামালা সুবহানাল্লাহ্। দ্বীনে ফেরার পর সবকিছুই নিয়ে জ্ঞান থাকলে ওও পর্দা নিয়ে তেমন কিছু জানতাম না, কেউ বলে নাই যে পর্দাটাও মহান রবের ফরজ বিদান। কিন্তু কেউ না বললেও আমি বইটা পড়ে জেনে নিয়েছি কীভাবে পর্দা করতে হয় আর কোন কাজগুলা করলে পর্দা হয় না। আলহামদুলিল্লাহ্ এইটা পড়ে আমি আমার রবের আরো প্রিয় বান্দা হয়ে উঠেছিলাম। আমি খুজে পেয়েছি বইটার মাধ্যমে রবের নীড়। আলহামদুলিল্লাহ্ বইটা আমি ২০২১ সালে পড়েছি, তখন আমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি আলহামদুলিল্লাহ
আমি বলতে চাই আমার যে সব বোনেরা রবের নিকড় ফিরতে চান তাদের জীবনে একবার হলেও বইটা পড়া উচিত। তাহলে বুঝতে পারবে মহান রব যে আমাদের কে ভালোবাসেন বলেই আমাদের উপর ফরজ করছেন পর্দা।
তাই প্রিয় বোনেরা আমার আর কত রবের অবাধ্য হবে তাই শুরু করে দাও এই পড়া পড়ে।
হিজাব আমার পরিচয় বইটা সকল পাঠককে নাড়া দিবে আমি এই আশা রাখি একজন মানুষকে দ্বীনে ফেরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
**
প্রিয় বোন আমার! ওয়াক্ত মতো সালাত আদায় করার ব্যাপারে তুমি অত্যন্ত সতর্ক থাকো, রামাদানের সাওম ছাড়াও নফল সাওমগূলো পালন করো, বছরে দুই থেকে তিনবার কুরআন খতম দাও একাধিকবার পবিত্র হজ্জব্রত ও উমরাহ পালন করো, গুনে গুনে যাকাত আদায় করো কিন্তু,,, হিজাবে কেন নিজেকে আবৃত কর না নিজেকে? হিজাব তো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার হুকুম, তাঁরই নির্দেশ। তবে কেন হিজাবের ব্যাপারে এতো উদাসিন রব্বের আযাব গযবের ভয় করছ না? হঠাৎ মৃত্যু আসবে হাজারো আকুতি মিনতি কাজ হবে না মৃত্যুকে থামাতে। তাই শেষ বয়সের অপেক্ষা নয়। এখনই সময় আত্মসমর্পণের রব্বের দরবারে প্রত্যাবর্তনের। তুমি তো জানোই প্রিয় বোন আমার একজন পুরুষ একজন নারীর প্রতি কামভাব নিয়ে তাকাতে অভ্যস্ত সেজন্যই তাদের উত্তোজনাকর খায়েশকে দমিয়ে রাখার নিমিত্তে অন্তত তোমার দেহ সম্পূর্ণ আবৃত রাখার ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন থাকা অপরিহার্য। তোমার সমস্ত শরীর মাথা ও চোখ কালো হিজাবে আবৃত করে দেখো, নিজেকে অনেক বেশি শক্তিশালী একজন মুসলিমা হিসেবে অনুভব করবে। জানো যখন তুমি তোমার সমস্ত শরীরকে গোপন করবে তখন তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। এইভাবেই তুমি ওও হতে পারবে একজন সম্মানিতা প্রিয় বোন আমার।
dfg –
Aribamoshkan@gmail.com
Md. Mhamudul Hasan –
“হিজাব আমার পরিচয়” বইটি সবার জন্য অনেক বোধগম্য একটি বই। বইটি মুসলিম নারীদের পরিচয়ের একটি অত্যন্ত গভীর বিবৃতি প্রদর্শন করে। বইটিতে লেখক সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন হিজাবের প্রতিটি বিষয়কে। হিজাব শুধু এক টুকরো কাপড় ই নয়, এর সাথে আছে আধ্যাত্মিক সংযোগ। এই বইটি শুধু “হিজাব” নিয়ে ভুল ধারণাই পরিষ্কার করবে এমনটা নয় বরং শরিয়া আইন অনুযায়ী “হিজাব” এর আসল অর্থে প্রকাশ করে। বইটি পরে অনেকেরই হিজাবের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা বাড়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
বইটির শেষে দিকে হিজাবের রেটিং এর আলোকে অবস্থান যাচাই এর জন্য ১৫ টি প্রশ্ন দেয়া আছে যা সত্যিকারের হিজাব মেইনটেন করার ক্ষেত্রে অনেকের চোখ খুলে দিবে। বইটি বেশ সংক্ষিপ্ত সাইজের, একশো পেইজেরও কম যার দরুন যেকেউ খুব কম সময়ে বইটি থেকে উপকার পেতে পারে। বিবাহিতা-অবিবাহিতা সকল নারীদের জন্য বইটি পাঠ্য।
সিরাজুম মুনিরা –
হিজাব আমার পরিচয়— বইটি গতানুগতিক কোনো বইয়ের মতো হিজাব বা পর্দার বিধান নিয়ে নয়। এটি মূলত হিজাবের পরিচয় নিয়ে আলোচনা। যেখানে হিজাব নিজেই অত্যন্ত দরদী ভাষায় আমাদের কাছে তার পরিচয় তুলে ধরছে এবং সাথে এও বলে দিচ্ছে কেনো হিজাব আমাদের জন্য জরুরি, এবং প্রকৃত হিজাব বলতে কী বোঝায়, সেই সংজ্ঞাও রয়েছে বইটিতে৷
পর্দার বিধান জানে না, পর্দা করে না, এমন কাউকে প্রথমেই পর্দার বিধান সম্পর্কিত বই না দিয়ে এই বইটি দেওয়া যায়। যেখান থেকে পাঠক জানবে পর্দা কেনো করা উচিত! এতে করে সে পর্দার প্রতি উৎসাহিত হবে।
পর্দা বিষয়ক দারুণ একটি বই এটি। ছোট কলেবরে দারুণ ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছে বইটির মাধ্যমে। এটি বেশ পাঠকপ্রিয় হয়েছে। আমি নিজেও কয়েকজনকে পড়তে দিয়েছি বইটি, তারা সকলেই বইটির প্রশংসা করেছে। আলহামদুলিল্লাহ!
আমার প্রিয় বইগুলোর একটি হলো, হিজাব আমার পরিচয়। আমি দাগিয়ে দাগিয়ে বইটি পড়েছিলাম, কিছু লাইন কোট করেছিলাম৷ খুবই ভালো বই।
Zarin Tasnim –
অসাধারণ একটা বই।বর্তমান সমাজে মেয়েদের পর্দার যে বেহাল দশা, এই বইটি এই সময়ের জন্য একদম উপযোগী। বর্তমানে অনেক মেয়ে পর্দার দিকে আগায়া আসলেও প্রকৃত পর্দা তারা করছে না।অনেকে মাথায় কোনমতে একটা হিজাব পড়ে বাইরে বের হলেই মনে করছে যে আমি তো পর্দা করেই বের হয়েছি।শুধু
মাথায় একটু ত্যানা প্যাচানোকেই তারা পর্দা মনে করছে।স্কুল,কলেজ,ইউনিভার্সিটির অধিকাংশ মেয়েরাই এভাবে চলাফেরা করছে।এই বইয়ের”” হিজাব≠ স্কার্ফ”” টপিকটায় খুব সুন্দর করে বুঝায়া বলে হইছে যে মাথায় এই ত্যানা প্যাচানোই ইসলামের আসল পর্দা নয়।ইসলামে পর্দার ডেফিনেশন কি এবং হিজাব এর সাথে আরো কি কি বিষয় একত্রিত করে পরিপূর্ণ পর্দা
হয় এগুলো সব খুব সুন্দর ভাবে বলা হয়েছে বইটাতে।একজন মুসলিম নারীর ঠিক কিভাবে চলা উচিত, কিভাবে চললে সে তার পর্যাপ্ত সম্মান নিয়ে চলতে পারবে এবং দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জায়গাতেই সম্মানিত হবে তার সমস্ত নির্দেশনা দেওয়া আছে বইটিতে।আমি মনে করি বিশেষ করে তরুনীদের এই বইটা পড়া উচিত। পর্দা সম্পর্কে A টু Z জানতে এই একটি বই ই যথেষ্ট। আল্লাহ লেখক এর লেখায় বারাকা দিন।
Khairul Islam Anik –
বইয়ের নামটাই একটা আকর্ষণ সৃষ্টি করে। লেখক খুব ভালভাবে বুঝিয়েছেন হিজাব একটা বিশাল কনসেপ্ট। আসলে শুধু পোশাক ঠিক থাকলে হবে না আমাদেরকে ফ্রি মিক্সিং এর ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে। হিজাব বলতে কেবলই মাথায় এক টুকরা কাপড় নয়, যেমন ধ্যান ধারণা সমাজে প্রচলিত। ব্যাক্তির কথা, চাহনি, পোশাক, অঙ্গভঙ্গি সব মিলিয়ে ইসলামি বিধান মোতাবেক সাজসজ্জার এক পরিপূর্ণ প্যাকেজের নাম ‘হিজাব’। সংক্ষেপে খুব ভালোভাবেই উপস্থাপিত হয়ে বিষয়টি, মনে হবে কেউ আপনার সাথে শুধু আপনাকেই উদ্দেশ্য করে দরদ মাখা কথাগুলো বলছে।
Mahfuz Bin Azhar –
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ!
বেশ কয়েক দিন ধরেই অনলাইনে ‘হিজাব আমার পরিচয়’ বই নিয়ে প্রচুর রিভিউ দেখছিলাম। যদিও আমি একজন ছেলে, কিন্তু মনের কৌতুহল দমাতে বইটি আমাকে সংগ্রহ করতেই হলো। মাদ্রাসার বন্ধুদের বিষয়টি জানাতেই তারা তাদের বোনের জন্যও অর্ডার করতে বললো। আমিসহ প্রায় ১০-১২ জন মিলেই অর্ডার দিলাম ‘Vivid Library’ নামক একটি অনলাইন বুকশপে। দুদিনের মধ্যেই হাতে পেয়ে গেলাম।
একাডেমিক বইগুলোর পাশাপাশি ফাঁকা সময়গুলোতে পড়তে শুরু করলাম কাঙ্ক্ষিত বই– ‘হিজাব আমার পরিচয়’। বইটাকে যতটা ভালো মনে করেছিলাম, বইটি তার থেকেও অনেক বেশি শিক্ষণীয়। ভাবাই যায় না যে, ৯০+ পৃষ্ঠার একটি ছোট বইয়ে এতগুলো শিক্ষা থাকতে পারে। সত্যি বলতে– বড় বড় বইয়ে যেই বিষয়গুলো উল্লেখ থাকে না, সেইগুলোও উল্লেখ করা আছে এখানে। সবথেকে বড় বিষয় হলো— লেখক এতো সুন্দর ভাবে কথাগুলো সাজিয়েছেন, যেন বইটিই বড় ভাই/বোন হয়ে উপদেশ দিয়ে যাচ্ছে। কখনো এও মনে হয়েছে যে, বইটি শুভাকাঙ্ক্ষী/বন্ধু হয়ে ঠান্ডা মাথায় ভুলগুলো ধরিয়ে দিচ্ছে। সাথে সাথে সংশোধনের পথও বাতলিয়ে দিচ্ছে। সত্যি বলতে, লেখকের উপস্থাপনার প্রশংসা করতেই হবে।
আমাদের অর্ডারের পর, ক্লাসের অন্যান্যরাও অর্ডার করে ফেললো এই বই। অনেকে তো জোড় করে অন্যান্যদের কিনতে বাধ্য করেছে। মনে পড়ে, নাঈম নামের এক বন্ধুকে তার বোনের জন্য জোর করিয়েই কিনিয়ে দিয়েছিলাম।
পাঠকদের প্রতি— প্রিয় ভাই, আপনি যদি আপনার বোনের জন্য কোনো উপহার খুঁজছেন, তাহলে বলবো– এই বইটির থেকে উত্তম কোনো উপহার হবে বলে মনে হয় না। আর বোনদের বলছি– নিজেকে এখনও হিজাবে আবৃত করতে পারছেন না? সংশয় কাজ করছে? লজ্জায় গুটিয়ে যাচ্ছেন? মানুষের কটু কথার ভয় হয়?
তাহলে একটি বার এই বইটি পড়ার অনুরোধ রইলো। আশা করি, আপনার সকল ভয়, লজ্জা ও সংশয় দুর হয়ে যাবে। বইটি আপনাকে নিরাশ করবে না, ইন শা আল্লাহ্!
পরিশেষে— বইটি পড়ে মনে হয়েছে, ‘ইশ! বইটি যদি আরেকটু বড় হতো। তাহলে হয়তো আরও অনেক কিছু জানতে পারতাম। ভুলগুলো শুধরে নেওয়া যেত।’
মাহফুজ বিন আজহার –
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ!
বেশ কয়েক দিন ধরেই অনলাইনে ‘হিজাব আমার পরিচয়’ বই নিয়ে প্রচুর রিভিউ দেখছিলাম। যদিও আমি একজন ছেলে, কিন্তু মনের কৌতুহল দমাতে বইটি আমাকে সংগ্রহ করতেই হলো। প্রায় ১০-১২ জন মিলেই অর্ডার দিলাম ‘Vivid Library’ নামক একটি অনলাইন বুকশপে। দুদিনের মধ্যেই হাতে পেয়ে গেলাম।
একাডেমিক বইগুলোর পাশাপাশি ফাঁকা সময়গুলোতে পড়তে শুরু করলাম কাঙ্ক্ষিত বই– ‘হিজাব আমার পরিচয়’। বইটাকে যতটা ভালো মনে করেছিলাম, বইটি তার থেকেও অনেক বেশি শিক্ষণীয়। ভাবাই যায় না যে, ৯০+ পৃষ্ঠার একটি ছোট বইয়ে এতগুলো শিক্ষা থাকতে পারে। সত্যি বলতে– বড় বড় বইয়ে যেই বিষয়গুলো উল্লেখ থাকে না, সেইগুলোও উল্লেখ করা আছে এখানে। সবথেকে বড় বিষয় হলো— লেখক এতো সুন্দর ভাবে কথাগুলো সাজিয়েছেন, যেন বইটিই বড় ভাই/বোন হয়ে উপদেশ দিয়ে যাচ্ছে। কখনো এও মনে হয়েছে যে, বইটি শুভাকাঙ্ক্ষী/বন্ধু হয়ে ঠান্ডা মাথায় ভুলগুলো ধরিয়ে দিচ্ছে। সাথে সাথে সংশোধনের পথও বাতলিয়ে দিচ্ছে। সত্যি বলতে, লেখকের উপস্থাপনার প্রশংসা করতেই হবে।
পাঠকদের প্রতি— প্রিয় ভাই, আপনি যদি আপনার বোনের জন্য কোনো উপহার খুঁজছেন, তাহলে বলবো– এই বইটির থেকে উত্তম কোনো উপহার হবে বলে মনে হয় না। আর বোনদের বলছি– নিজেকে এখনও হিজাবে আবৃত করতে পারছেন না? সংশয় কাজ করছে? লজ্জায় গুটিয়ে যাচ্ছেন? মানুষের কটু কথার ভয় হয়?
তাহলে একটি বার এই বইটি পড়ার অনুরোধ রইলো। আশা করি, আপনার সকল ভয়, লজ্জা ও সংশয় দুর হয়ে যাবে। বইটি আপনাকে নিরাশ করবে না, ইন শা আল্লাহ্!
Umme Habiba –
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
হিজাব করা পর্দা করা ইসলামে ফরজ। ইসলামে আল্লাহ তায়ালা নারীদেরকে অনেক সম্মান দিয়েছেন যা অন্য কোথাও দেওয়া হয়নি।আর সেই সম্মান ধরে রাখা মুসলিম নারীদের জন্য ফরজ। ইসলাম এমন একটি ধর্ম যেটার নাম শুনলেই মনে শান্তি চলে আসে। হিজাবের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে পুরোপুরি পর্দা করে চলি বলে মনে করি কিন্তু সেটা শুধু হিজাবে সীমাবদ্ধ থাকে না সেটা পুরো শরীরকে ঢেকে দেওয়ার মধ্যে থাকতে হবে।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে সূরা আন নূরের আয়াত নং 31 এ বলেছেন;
আর ঈমানদার নারীদেরকে বল,যেন তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে ।আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তাছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না।তারা যেন ওড়না দিয়ে তাদের বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। তারা যেন তাদের মাহরাম ছাড়া নন মাহরাম কাছে নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোড়ে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তওবা করো যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।
এটাতে বুঝা যায় ইসলামে হিজাবের মাধ্যমে নারীদেরকে কতটা সম্মানের অধিকারী করা হয়েছে।
“হিজাব আমার পরিচয়”বইটি সেই অনুভব করিয়েছে।
তাই এটা বলা যায়,হিজাব নারীদের কে অসহায়ত্ব করে না,তাদের সম্মান কমায় না বরং তাদেরকে মূল্যবান করে তোলে সম্মানী করে তোলে আল্লাহর প্রিয় করে তোলে।