কাপড়-চোপড় ময়লা হলে আমরা পরিস্কার করি। এর জন্যে নানারকম পরিস্কারক দ্রব্য ব্যবহার করি। উদ্দেশ্য—ব্যক্তিত্বকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা।
আমাদের অন্তরটাও ঠিক কাপড়ের মতোই। প্রতিনিয়ত গুনাহ করতে করতে অন্তরেও ময়লা জমে যায়। কিন্তু গুনাহের পরিবেশে থাকতে থাকতে অন্তর পরিচ্ছন্ন করার ব্যাপারটা আমরা বেমালুম ভুলে যাই। অথচ একটা পবিত্র অন্তর নিয়ে মহান রবের দরবারে উপস্থিত হওয়াই মুমিনের জীবনের সার্থকতা।
অন্তর পরিচ্ছন্ন রাখতে ইসতিগফারের বিকল্প কিছু নেই। কেননা ইসতিগফারই হলো অন্তরের রোগের প্রধানতম প্রতিষেধক। ইসতিগফার শুধু অন্তরকে পরিস্কারই করে না, বরং এর শক্তিও বাড়িয়ে দেয়। নৈকট্য সৃষ্টি করে রবের সাথে বান্দার।
মহত্তম এই ওষুধকে কার্যকরভাবে ব্যবহারের পথ বাতলে দেওয়া হয়েছে আলোচ্য বইটিতে। ইসতিগফার কী, কেন এর প্রয়োজন, এর প্রয়োগই বা কীরূপ ইত্যাকার নানান জিজ্ঞাসার জবাব পাওয়া যাবে সংক্ষিপ্ত এই বইতে।
মোঃ আব্দুল বাতেন –
আমরা ইস্তিগফার করি গুনাহ মাফের জন্য, আবার ইস্তিগফার একটা স্বতন্ত্র যিকর। বইটা যে কারণে আমার কাছে অন্যান্য বইগুলোর তুলনায় ইউনিক মনে হয়েছে তা হলো এখানে পয়েন্ট আকারে ইস্তিগফারের কারণ বর্ণনা করা হয়েছে এবং শাইখ আহমাদ জিবরীল লম্বাচওড়া ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। আমাদের জীবনের কতগুলো ভিন্নধর্মী সমস্যার সমাধান যে ইস্তিগফার; বইটা না পড়লে জানতেই পারতাম না। মুসলিম উম্মাহর চলমান বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ তাদের পাপকাজ। এছাড়াও ইবাদতে লৌকিকতা, বিভিন্ন আত্মিক ব্যাধি আমাদের জীবনের বড় বড় সমস্যাগুলোর মধ্যে পড়ে। বইটাতে প্রথমে ‘মুজিবাতুল ইস্তিগফার’ বইয়ের সরল অনুবাদ দেওয়া হয়েছে। এরপর ইস্তিগফারের সংজ্ঞার্থ ও ফজিলত, কারণগুলোর ব্যাখ্যা ও সবশেষে ইস্তিগফারের কিছু দুআ। বইটা আমলের নিয়্যতে কিনে পড়ে আমল করলে ইনশাআল্লাহ পাঠক উপকৃত হবেন।
Suriya Metu –
রাসূল (সা.) ইস্তেগফারের প্রতি উৎসাহ প্রদান করে বলেন (অথচ তিনি মা’সুম-নিষ্পাপ), হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার ও তাওবা করো। কারণ আমি নিজেও দৈনিক শতবার তাওবা-ইস্তেগফার করি।
অন্য হাদীসে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.) বলেন, যার আমলনামায় ইস্তেগফার অধিক সংখ্যায় পাওয়া যাবে তার জন্য রইল সুসংবাদ।
হযরত লোকমান হাকীম তাঁর সন্তানকে উপদেশ দান করে বলেন, হে আমার পুত্র! ‘আল্লাহুম্মাগ ফিরলী’ বলাকে অভ্যাসে পরিণত করে নাও। কারণ এমন কিছু সময় আছে যখন আল্লাহ তা’আলা যেকোনো দু’আকারীর দু’আ কবুল করেন।
এই বইয়ের মধ্যে দিয়ে সবাই কিভাবে ইসতেকফারের মাধ্যমে আল্লাহ কাছে ফিরে আসবে তা খুব ভালো ভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছে।
ইসেখফার বই পরে নিজেকে আত্মাশু্দ্ধি করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ এই বইটা পরে জিবনে কিভাবে পাপের সাগর থেকে আল্লাহ কাছে ক্ষমা চাইতে হয় সব দেওয়্ আছে সবার এই বইটা পরা উচিৎ।
Muhammad Shuvo Ahmed –
কখনো কি মনে পড়ে, আল্লাহর রাসুল (সা) কেনো দিনে সত্তর বারের অধিক আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার করতেন। তিনি ছিলেন গুনাহ মুক্ত, মহান রব যার আগে পরের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন তবুও, কেনো তিনি আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার করতেন। আল্লাহর রাসুল তার সাহাবী ও আমাদেরকেও কেনো বেশী বেশী ইস্তিগফার করার আদেশ দিয়ে গেছেন, কখনো কি মনে হয় এর পেছনে রহস্যটা কি? আমরা সকলেই মহান রবের দাসত্ব করার জন্য আদিষ্ট, কিন্তু এই সমগ্রজীবনে চলার পথে আমাদের ইচ্ছায়, অনিচ্ছায়, জেনে-না জেনে, শয়তান, নফসের ধোঁকায় পড়ে আমরা আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়ে পড়ি। এছাড়াও কিছু কারণ আছে যেগুলোর জন্য আমাদের অনেক নেক আমল ধ্বংস হয়ে যায়, ফলে আমরা আল্লাহর ক্রোধের উপযুক্ত হয়ে পড়ি, আর মূলত এই সকল খারাবি থেকে বেঁচে থেকে মহান আল্লাহর দেখানো পথে ইবাদত করে, ইবাদাতের ভুলভ্রান্তি থেকে মহান আল্লাহর ক্ষমা প্রাপ্তির এক অনুপম দুয়ার হলো এই ইস্তিগফার।
বইটিতে লেখক কুরআন সুন্নাহর আলোকে আমরা কেনো ইস্তিগফার করবো এমন গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন। যা বইটি পড়লে আপনি অবাক হতে বাধ্য, যেসকল কারণগুলোকে আমরা অনেকেই তুচ্ছ ভাবি, কিন্তু তা কতো সূক্ষ ও মারাত্মক।
বইটি সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য দু’আ ও ভালোবাসা।
Muhammad Shuvo Ahmed –
কখনো কি মনে প্রশ্ন জেগেছে আল্লাহর রাসুল (সা) কেনো দিনে সত্তরবারের অধিক আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার করতেন? তাছাড়া কেনো রাসুল (সা) তার সাহাবী সহ তার সকল উম্মাত কে বেশী বেশী ইস্তিগফার করার আদেশ দিয়ে গেছেন। আমাদের মহান রব সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তার ইবাদাত করার জন্য। কিন্তু আমরা মহান আল্লাহর যথাযথ ইবাদাত করতে পারি না, ইচ্ছায় অনিচ্ছায়, জেনে না জেনে, অজ্ঞতাবশত নানা কারণে আমাদের দিয়ে আল্লাহর নাফরমানি হয়ে যায়। তাই আমাদেরকে ইস্তিগফার করতে হয়, আল্লাহর সন্তুষ্টির অর্জনের পথে এটি অনুপম পাথেয়।
মূলত আমরা কেনো আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার করবো?
এমনি গুরুত্বপূর্ণ সূক্ষ্ম কয়েকটি কারণ নিয়ে লেখক কুরআন সুন্নাহর আলোকে দালিলিক আলোচনা করেছেন। যা বইটি পাঠ করলে পাঠক অনুধাবন করবেন। লেখক, সংকলকের জ্ঞানের বিচক্ষণতা বুঝতে পারবেন ইনশা আল্লাহ। আর লেখক সহ বইটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য অন্তর থেকে দু’আ আসবে ইনশা আল্লাহ।
বাকি ইস্তিগফার কারণ ও এই আমলের মজা, আমল বৃদ্ধিতে বইটির পাঠ কার্যকরী ভূমিকা রাখবে ইনশা আল্লাহ।
Tami Islam Mim –
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তার ইবাদত ও আদেশ-নিষেধ মেনে চলার জন্য সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু আমরা শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার আদেশ-নিষেধ লঙ্ঘন করি এবং তার হুকুম মেনে চলার ক্ষেত্রে গুনাহের কাজে লিপ্ত হই। তাই আল্লাহ তায়ালা আমাদের গুনাহ থেকে মুক্তি দানের জন্য ইস্তিগফারের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। ইস্তিগফারের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও নেয়ামত লাভ করা যায়। ইস্তিগফার একজন মুমিনকে নিষ্পাপ ও নিষ্কলুষ জীবন দান করে। কিন্তু আমরা অনেকেই ইস্তিগফার কি, ইস্তিগফার কিভাবে করে এবং এর ফজিলত কি এই সম্পর্কে কিছুই জানিনা। লেখক আহমাদ মুসা জিবরীল তার ইস্তিগফার বইয়ে ইস্তিগফার সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয়, ইস্তিগফারের কারণসমূহ, ইস্তিগফারের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে প্রাঞ্জল ভাষায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। বইটি পড়লে একজন পাঠক খুব সহজেই ইস্তিগফার সম্পর্কে জানতে পারবে এবং আমাদের সকলের জন্য ইস্তিগফার বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ইন শা আল্লাহ্। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা উক্ত বইটির লেখককে উত্তম প্রতিদান দান করুন, আমীন ইয়া রব্বাল আলামিন।
Mohd. Kaif Hossain Mozumder –
ক্ষমা চাওয়া, কাজটি অত্যন্ত কষ্টকর আমাদের কাছে। কিন্তু গুনাহ করে যাওয়া সহজ। “কেন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইব? আমি তো কোনো অপরাধ করিনি। আর আমি তো দ্বীন মেনে চলার ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে আছি।” আমাদের মাঝে অনেকের ধারণাটা এরকম। কিন্তু আসলে দিনশেষে লেবাসের ভিতরে প্রায় সকলেই গুনাহে লিপ্ত আছে। এখন আমি আপনি হয়তো জানি না কি গুনাহ করেছি অথবা অসচেতন। কিন্তু এর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা যে করা হবে না তার নিশ্চয়তা দিতে পারবেন না। হয়ত আজকে মরে গেলেন। তারপরেই আপনাকে এমন বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হতে পারে যার ব্যাপারে আপনি অসচেতন ছিলেন। তখন কি হিসাব দিবেন? এজন্য ‘ইসতিগফার’ বইটি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ইসতিগফারের কারণ, গুরুত্ব ও ফজিলত ও এর সহজব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। যা আপনাকে নতুনভাবে শিখাবে কেন আপনার উচিত সর্বদা আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়া। কেন পরিস্কার করা দরকার নিজের নাফসকে। আমল করেও আপনি যে বিপদমুক্ত না। সেটা অনুধাবন করতে পারবেন।তাই এই বইটি অবশ্যই পড়া উচিত।