অলসতা এমন এক কঠিন রোগ, যা কারও ওপর চেপে বসলে, তার ইহকাল-পরকাল সাঙ্গ করে দেয়। শুধু তাই নয়, একসময় অলস ব্যক্তি তার স্বাভাবিক মানবতাবোধও হারাতে থাকে। তার মেধা শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বিলুপ্ত হতে থাকে তার মানবিক বৈশিষ্ট্য।
অলসতা কোনও মন্ত্রী-মিনিস্টার চেনেনা। বৃদ্ধ, যুবক, পুরুষ, নারী, দ্বীনদার, দুনিয়াদার—সকলেই অলসতার আক্রমণের শিকার হতে পারে। তাই এব্যাপারে সবার সমান সচেতন হওয়া চাই। আপাতদৃষ্টিতে ব্যক্তি যতই পরিশ্রমী হোক, সচেতনতার প্রশ্নে সে-ও আলাদা কেউ নয়। ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রহিমাহুল্লাহ) বড় যথার্থ বলেছেন,
‘লক্ষ্য অর্জনে প্রতিটি পরিশ্রমী ব্যক্তিকেই আলস্যও বিরতির মুখোমুখি হতে হয়।’ [মাদারিজুস সালিকিন, ১/২৭৮]
বইটি পড়ে আমল করার মাধ্যমে পাঠক তার অলসতাও দুর্বলতা অনেকাংশেই কমিয়ে আনতে পারবে। এরপরও যদি আলস্য চলেই আসে, তবে তার সাথে কেমন হবে আপনার আচরণ, কীভাবে তাকে প্রথম সুযোগেই ঘরের দুয়ার থেকে তাড়ানো যায়—সে সম্পর্কেও বইটিতে আলোকপাত করা হয়েছ।
Suriya Metu –
অলসতা কর্মবিমুখতা ও হীনমন্যতা তৈরি করে। জীবনের সম্ভাবনা নষ্ট করে দেয়। কর্মবিমুখ ও নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিকে অন্যরা পছন্দ করে না। ভাবলেশহীন কিংবা উদাসীন মানুষকে সবাই অবহেলার চোখে দেখে।
তাই অলস ব্যক্তির জীবন ফলপ্রসূ ও কর্মমুখর হয় না। কর্মহীনতা, নির্লিপ্ততা ও আলস্য নিজের জন্য যেমন কিছু করতে পারে না; তেমনি সমাজ ও অন্যদের জন্যও তেমন কিছু উপহার দিতে পারে না। উপরন্তু অনেক অলস আশপাশের লোকদের জন্য অবক্ষয় ডেকে আনে।অলসতা কোনও মন্ত্রী-মিনিস্টার চেনেনা। বৃদ্ধ, যুবক, পুরুষ, নারী, দ্বীনদার, দুনিয়াদার—সকলেই অলসতার আক্রমণের শিকার হতে পারে। তাই এব্যাপারে সবার সমান সচেতন হওয়া চাই। আপাতদৃষ্টিতে ব্যক্তি যতই পরিশ্রমী হোক, সচেতনতার প্রশ্নে সে-ও আলাদা কেউ নয়।
ব্যক্তি জিবনে কিভাবে অলসতা কমানো যায় কিভাবে এখান থেকে বের হওয়া যায় তারি আলোকপাত করা হয়েছে এই বইটিতে। তাই অলসতা কে দুরে সরিয়ে সফলতার কাছে পৌছানোর উপায় জানার জন্য এই বইটা পরা অতি জরুরি।