প্রাচীন গ্রিকরা অন্য অনেক কিছুর সাথে কুমারবৃত্তিতেও দক্ষ ছিল। ইংরেজ রোমান্টিক কবি জন কীট্স একবার এমনই এক মাটির পাত্র দেখে বিমোহিত হয়ে যান। সেটির গায়ে আঁকা ছবিগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখতে থাকেন। উপলব্ধি করেন, ছবিতে নীরবে বাঁশি বাজাতে থাকা মানুষটা চিরকাল এভাবেই বাঁশি বাজিয়ে যাবে। যেকোনো শ্রুত সুরের চেয়ে মধুর সেই সুর।
জীবনে যেসব সুর শোনা যায় না, সেগুলোর মধ্য থেকে কয়েকটির স্বরলিপি নিয়ে তৈরি এই বই অশ্রুত সুর। খাঁচাবন্দি পাখি, শহুরে কুকুর, আন্দোলনরত শিক্ষক, বেকার যুবক, অন্যমনস্ক মুসল্লি, ময়দানে ব্যস্ত সৈনিক, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত কিশোর, সেঞ্চুরির আশায় থাকা ব্যাটসম্যান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাজাকার, সংসারী বেলা বোস, ট্রেন দেখার জন্য বসে থাকা শিশু, অন্ধকার প্রকোষ্ঠে এক অচেনা প্রাণী, সুপারম্যান-ব্যাটম্যানের সঙ্গী এক নতুন অতিমানব – এরকম নানাবিধ মানুষ-অমানুষ এখানে পাতায় পাতায় নানা তালে, নানা লয়ে সুর শোনাতে উদ্গ্রীব।