‘রুকইয়াহ’ অর্থাৎ ইসলাম-সম্মত ঝাড়ফুঁক। তথা কুরআনের আয়াত, হাদীসে বর্ণিত দুআ এবং সহজ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে জাদুটোনা, জিনের আসর, বদনজর ও বিভিন্ন শারীরিক-মানসিক রোগব্যাধির প্রতিকার করা। হাদীসটি খেয়াল করুন :
একদিন জিবরীল আ. রাসূল সা.-এর কাছে এসে বললেন, ‘হে মুহাম্মাদ, আপনি কি (আল্লাহর কাছে আপনার সমস্যার ব্যাপারে) অভিযোগ করেছিলেন?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’
জিবরীল আ. বললেন, ‘আমি আপনাকে আল্লাহর নামে রুকইয়াহ করছি, সেই সব জিনিস থেকে—যা আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে। সকল প্রাণের অনিষ্ট কিংবা হিংসুকের বদনজর থেকে আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য দান করুক; আমি আল্লাহর নামে রুকইয়াহ করছি।’ (সহিহ মুসলিম)
আমাদের সমাজে নাজায়েজ ঝাঁড়ফুকের ছড়াছড়ি থাকলেও এ ব্যাপারে ইসলামি ঐতিহ্য ও শরীয়তের বিধিনিষেধের প্রতি উদাসীনতা খুবই প্রকট।
এই বইটিতে নিজের এবং অন্যের জন্য রুকইয়াহ করার পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি জিন, জাদু, বদনজর ও ঝাড়ফুঁক বিষয়ে ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি সহজ ভাষায় উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করি, এটা আমাদের সবার জন্য উপকারী হবে ইনশা আল্লাহ।
Rintia Islam –
তাবীজ, কবিরাজদের যখন চারদিকে জয়জয়কার তখন কুরআনি রুকইয়াহ এর সহিহ একটি বইয়ের খুবই প্রয়োজন যা এই বইটি পূরণ করেছে বলে আমি মনে করি। কুরআনের আয়াত তো এতোটা শক্তিশালী যে তা যদি পাহাড়ে নাজিল হতো তবে পাহাড়ও ধ্বংস হয়ে যেতো। এই কুরআনের আয়াত দিয়েই সম্ভব শারীরিক অসুস্থ, জ্বীন, যাদু, বদনজর সবকিছুর চিকিৎসা করা। বইটিতে প্রতিটি বিষয়ে অধ্যায় ভিত্তিক খুবই সুন্দর করে গুছানো যেন পাঠক খুব সহজেই রুকইয়াহ এর নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করতে পারে।
umme binte Saleh –
বদনজর, তাবিজ, ব্ল্যাকম্যাজিক এগুলো নষ্ট করার জন্য মানুষ কবিরাজ দের কাছে যায়। অথচ একটু ভালো মতো এ বিষয় নিয়ে চিন্তা করলে বুঝা যায় যে আমরা নিজেরাও কুরআনি আয়াত, সূরা দিয়ে এগুলো থেকে মুক্তি পেতে পারি। শুধু দরকার একটা গাইডলাইন। আর রুকইয়াহ বইটা হলো সবচেয়ে উপকারি। রুকইয়াহ কী, সঠিকভাবে রুকইয়াহ করার নিয়ম জানা যায়। আলহামদুলিল্লাহ খুব উপকারি একটা বই।
Khairul Islam Anik –
প্রচলিত সমাজ ব্যাবস্থার বাহিরে বিলুপ্তপ্রায় কুরআনের আলোকে নববি চিকিৎসা পদ্ধতির নাম হলো রুকইয়া। স্বয়ং জিবরীল আ’লাইহিসসালামা নবিজীর অসুস্থতার সময় রুকইয়া করেছেন।
প্রথম #রুকইয়া কিতাবটা পড়ে আমার অনুভূতি ‘সুবহা’নাল্লহ, এতো অন্তরের চক্ষু খুলে দেওয়ার মতোন কিতাব’। লাখো রুগীর সুস্থতার প্রেসক্রিপশন রয়েছে এতে।
অনেক তথ্যবহুল এবং জ্ঞানগর্ভ বিষয়ে আলোচনা যা এই বস্তুবাদী সমাজের ভীরে প্রায়ই অপ্রতুল। কুরআন মাজিদ, আল্লাহুর পবিত্র কালাম যে কি পরিমানে ক্ষমতাময় এই কিতাব থেকে প্রাপ্ত তথ্যের মাধ্যমে আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি।
শারিরীক ও মানসিকভাবে সুস্থ জীবনের জন্য প্রত্যেকের ঘরে কুরআন মাজিদের সহিত এই কিতাব টি রাখা এবং অধ্যায়ন করা বাধ্যতামূলক মনে করি।