কিছু মানুষ তাদের ভ্রান্ত চিন্তা-চেতনাগুলো সাহিত্যের মোড়কে বাজারজাত করে। ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় সমাজের একটা শ্রেণি ওদের লেখনীর দ্বারা প্রভাবিত হয়, ধীরে ধীরে পা বাড়ায় ভ্রান্তির জগতে। ভ্রান্তির জগৎ কালো অন্ধকারে ঢাকা। মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার মতো আলো সেখানে নেই। ওই জগৎটা মানুষকে অমানুষ করে দেয়। নামিয়ে দেয় পশুদের চেয়েও নিকৃষ্ট স্তরে। আর যাতে কেউ ওদিকে পা না বাড়ায়, সে প্রত্যাশায় রচিত আমাদের এই বই।

ভ্রান্তিবিলাস
ভ্রান্তিবিলাস
Featured
বিন ইয়ামিন –
একটি বাচ্চার জন্ম হলো। কালের কোলে ধীরে ধীরে সে বড় হলো, হলো সে তরুন। তারুণ্যতা তাকে নিয়ে যায় মুক্ত আকাশের মাঝে। সে মুক্ত আকাশে, মুক্ত বাতাসে একটি অন্ধকার দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়, দরজার উপর লেখা থাকে ‘মুক্তচিন্তা’।
সে ওই দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে, অতঃপর সে নতুন কিছু দর্শনের সম্মুখীন হয়। সে সকল, দর্শন তার অন্তরে নানাময় প্রশ্ন তৈরি করতে থাকে, তার কোমলময় অন্তরে আল্লাহর প্রতি যে বিশ্বাস ছিল! সে বিশ্বাসের পুষ্পে আঘাত আনতে থাকে একের পর এক প্রশ্ন।
ধীরে ধীরে সে অবিশ্বাস করতে থাকে, অন্তরে থাকা, সেই পুষ্পময় বিশ্বাস আল্লাহর প্রতি। সে ভ্রান্তিবিলাসে ভুগে। তার অন্তরে প্রশ্ন জাগে আল্লাহ এত ধর্ম দিয়েছেন কেন? ইসলাম যদি সত্যিই হয়, তবে আল্লাহ বাকি ধর্মগুলো কেন দিয়েছেন?
কেন ইসলামে নারীদের বিধান এমন? তারা কেন বস্তাবন্দী হবে? পুরুষরা কেন জান্নাতে ৭২ হুর পাবে? কেন নারীরা তা পাবে না? তার অন্তরে একের পর এক এভাবেই প্রশ্ন তৈরি হতে থাকে, প্রতিটি প্রশ্নের আঘাতে তার অন্তর ক্ষত বিক্ষত হয়ে যায়… সে এই প্রশ্নের সম্মুখীন থেকে বাঁচতে চায়… সে বাঁচার তাগিদে সামনে হাঁটতে থাকে… একটি বৃক্ষের নিচে… সে গভীর মনোযোগে তাকিয়ে দেখে… পাগড়ী পরা এক জুব্বায় মোড়ানো, দাড়িওয়ালা সুদর্শন যুবক দাঁড়িয়ে আছে। ওই যুবকের হাতে একটি বই… নাম তার ‘ভ্রান্তিবিলাস’
অবিশ্বাসীদের জন্য এই বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বইটি সকলেরই পড়া উচিত। কারো অন্তরে যদি বিন্দু পরিমাণ সংশয় থাকে, তবে এই বইটি পড়লে আশা করি সংশয় দূর হবে ইনশাআল্লাহ।