শেষের অশ্রু

শেষের অশ্রু

6 customer reviews
Sold: 4

৳ 120.00

-25%

লেখক : দাঊদ ইবনু সুলাইমান উবাইদি
অনুবাদক : আব্দুল্লাহ মজুমদার
সম্পাদনা : শিহাব আহমেদ তুহিন
কভার : পেপারব্যাক
পৃষ্ঠা : ১০৪

একটু পড়ে দেখুন

৳ 120.00

Add to cart

“দুনিয়ার সব নারী থেকে একজন পুরুষ বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু এমন একজন থাকতে পারে যে খুব গোপনে তার মনে জায়গা করে নিতে পারে।”- শাইখ জাওয়াদ কথাটা একদম বেদ্বীনি কারও বেলায় যেমন সত্য, তেমন সত্য দ্বীন মানতে চাওয়া অনেক ছেলের ক্ষেত্রেও। তাদের সালাত, সিয়াম, কিয়াম-এর ফাঁক গলে হুট করে এক নারী প্রবেশ করে ফেলে তার অন্তরে। সফেদ অন্তরে ফেলে দেয় গুনাহের দাগ। ‘শেষের অশ্রু’- তেমন এক ইবাদতপ্রেমী যুবক ইয়াসারকে নিয়ে সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা একটি গল্প। যে ইয়াসারের চোখে আখিরাত ছাড়া কিছুই ছিল না, সেই ইয়াসারকে গ্রাস করেছিল ডাগর কালো দুটি চোখ। মসজিদে অন্তর লেপ্টে থাকা যুবকটির অন্তর লেপ্টে গিয়েছিল এক রুটির দোকানের শেষের বাড়িটায়। সারশীর নামক রূপসীর সৌন্দর্যের মাধ্যমে শয়তান বশ করে ফেলেছিল ওকে। শয়তানের আঁটা প্রেমের ফাঁদে আটকে গিয়েছিল দুনিয়াবিমুখ ইয়াসারের মন। এক সময়কার ইবাদাতগুজার ইয়াসার হারিয়ে যাচ্ছিল অন্ধকার পথে। সেখান থেকে কীভাবে সে ফিরে এল, কীভাবে তাওবার পথে পা বাড়াল—তা নিয়েই আমাদের এ বই।

6 reviews for শেষের অশ্রু

  1. TA Naem

    আস্সালামু আলাইকুম,
    ২০২৩ এর শুরুর দিকে কোন সময় বইটি প্রথম চোখে পড়ে অন্যসব বইএর মতো৷ আমি গল্প উপন্যাস পড়তে সাধারণত ভালোবাসতাম না। তথ্য বহুল মনে হতোনা তাই৷ কিন্তু চোখ আটকে গেল বইটির বিষয়বস্তু দেখে। কিভাবে শয়তানের ফাঁদে এক টগবগে ইমানদার যুবকের জীবনে কিভাবে এক নারী স্থান পেল, তারপর এই ফিতনার রাস্তায় সে কিভাবে নিজের ইমানের জোরে মোকাবেলা করল তারই রোমাঞ্চকর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে বক্ষমান বইটিতে। সাবলীল অনুবাদ এবং চমৎকার সাহিত্যগুণ ধারণ করায় বইটি পড়তে পড়াতে একমুহূর্ত চোখ সরাতে পারবেন না ইনশাআল্লাহ। এতোটাই সুখপাঠ্য পেয়েছি যে, আমি তিনমাস পর দ্বীতিয়বার পড়েও ঠিক আগেরমতো উজ্জীবিত হয়েছিলাম। নারীর ফিতনায় পড়ার কোন বয়স হয়না। ফিতনাময় এ জামানায় নিজের ইমানে যদি নতুন জোশ আনতে চান বিশেষত আমার মতো যুবকদের জন্য আরবে বহুল পঠিত এ বইটি আপনাকে অবশ্যই সাহায্য করবে বলে আশা রাখি

  2. মরু গোলাপ

    বই:শেষের অশ্রু
    লেখক:দাঊদ ইবনু সুলাইমান উবাইদি
    প্রকাশনী:সন্দীপন প্রকাশনী
    বিষয়:আত্মশুদ্ধি
    ”মনে রেখো,ইয়াসারের কাছে পৌছাতে হলে সাতটা দরজা পার হতে হবে।আর প্রতিটা দরজায় একটি একটি করে মোট সাতটি লোহার তালা লাগানো আছে।”

    শেষের অশ্রু বইটি লেখা হয়েছে একজন দ্বীনদ্বার যুবক কে নিয়ে লোকে যাকে আল্লাহওয়ালা,মসজিদের কবুতর নামে জানত।যে দুনিয়াবিমুখ ছিল যার চোখে সব সময় জাহান্নামের আগুনের দগ্ধ ছবি ভাসত।
    যে সব সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করত।বালুকনা যেমন এক খন্ড মেঘের কোনো ক্ষতি করতে পারেনা ঠিক তেমনি ওই মেয়ে ইয়াসারের জীবনে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।
    কিন্তু শয়তান সুক্ষভাবে নারীর মাধ্যমে তার অন্তরে অস্থিরতা স্রষ্টি করে।
    মেয়েটির আরবি ভাষার উপর পান্ডিত্ত,তাওবার ভান করা সব কিছু আসতে আসতে তাকে দুর্বল করে ফেলে।
    ওযুর পানিতে সিক্ত পবিত্র চোখের সাথে ডাগর কালো দু-চোখের মিলন কিভাবে ইয়াসার কে দ্বীন থেকে সরিয়ে আনে সেই বিষয়ে লেখা হয়েছে বইটি।
    সাতটি লোহার তালা বিস্ময়কর ভাবে খুলে যায় যে চাবির সামনে সেই চাবি হলো নারী!!হারামে নিমজ্জিত হওয়ার পর অশ্রু ব্যতিত আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।যদিও গল্পে অনেক অংশ আছে যেগুলো আমাদের পুনরায় আশার আলো দেখায়।
    কারন আল্লাহ তাওবাকারীদের পছন্দ করেন।
    শুধু হারাম সম্পর্ক বাদেও কিভাবে পবিত্র ও হালালের রূপ ধরে ফিতনা মানুষ এর ছড়িয়ে পড়ে বইটির আলোচ্য বিষয়বস্তু সেইটি।

  3. খুশবু বিনতে তৈয়ব

    “শেষের অশ্রু” এক ঈমান দীপ্ত দুনিয়া বিমুখ যুবকের পদস্খলন এবং পুনরায় নীড়ে ফেরার এক অসাধারণ গল্প। “যারা আলো বিলায় সবার মাঝে তারাও মাঝে মাঝে হারিয়ে যেতে পারে গভীর আঁধারে। এবং আঁধারে হারানো মানুষগুলোর মুক্তি পুনরায় অনুতপ্ত হয়ে আলোয় ফেরায়।” বইটি পড়ে সেই উপলব্ধিই আসবে পাঠকের হৃদয়ে।

    আমাদের আশেপাশে এমন অনেক যুবক আছেন যারা দুনিয়া বিমুখ মুত্তাকী। তাদের আল্লাহ ভীরুতা দেখে কেউ কেউ হন পথপ্রাপ্ত। কিন্তু শয়তানের ধোঁকা বড়ই কঠিন। পথপ্রদর্শক হওয়া সত্ত্বেও কেউ কেউ শয়তানের প্ররোচনায় জড়িয়ে যায় নারাীর ফিতনায়। শয়তানের ধোঁকায় ফেলার প্রথম ধাপ হচ্ছে ‘নজর’। এই নজরে ঘায়েল হলেই ধাপে ধাপে খুলে যায় সব তালা। “শেষের অশ্রু” গল্পের ইয়াসারের বেলায়ও ঘটেছে তাই। শয়তানের ধোঁকায় ধাপে ধাপে খুলে যায় ইয়াসারের হৃদয়ের সাতটি তালা। যে ইয়াসারের চোখ ছিল রবের প্রেমে সিক্ত সেই ইয়াসারের চোখ কাড়ল এক দুনিয়ামুখী মানবীর রূপ। তারপর ধাপে ধাপে শুরু পদস্খলন।

    অতঃপর ইয়াসার অনুতাপের অনলে পুড়তে থাকে। দুচোখ বেয়ে নেমে আসে শেষের অশ্রু। “আর আমি অবশ্যই ক্ষমাশীল তার প্রতি—যে তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে তারপর সৎপথে অবিচল থাকে।” (সুরা ত্বহা : ৮২)
    এই আয়াত ইয়াসারের হৃদয়ে আশার আলো জাগাল। নীড়ে ফিরল সে রবক ভালোবেসে। শেষের অশ্রু এমন এক গল্প যা একমুহূর্তের জন্যও চোখ ফেরাতে দেয় না গল্প থেকে।

  4. সিরাজুম মুনিরা

    শেষের অশ্রু— বইটি নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। আমি পড়ার আগেই দেখেছিলাম বইটি বেশ পাঠকপ্রিয়। কারো কারো চোখের পানি জড়িয়েছে এই বই। কারণ ঘটনা এমনই হৃদয়গ্রাহী।

    বাগদাদের এক যুবক ইয়াসার। যে শয়তানের চক্রান্তের স্বীকার এবং নফসের খাহেশাতে বন্দী হয়ে পড়ে। কখন, কীভাবে তার এই পদস্খলন হয় সে নিজেও টের পায়নি।

    আসলে এগুলো তো আল্লাহরই পরীক্ষা, কিন্তু শয়তান প্রবেশের রাস্তা যদি আমরা বন্ধ না রাখি তাহলে দোষ তো আমাদেরই।

    একসময় ইয়াসার তার ভুল বুঝতে পারে এবং তাওবার দুয়ারে ফিরে আসে।

    ইয়াসারের এই গল্প বর্তমান যুবক যুবতীদের জন্য অনেক বড় শিক্ষা। এই গল্প আরও অনেকের হৃদয়কেই আলোকিত করবে, কারো ঘুমন্ত বিবেক জাগ্রত হবে এবং সচেতন যারা তারা নিজেদের ব্যাপারে আরও সচেতন হবে। ফিতনার দ্বার রুদ্ধ করে দিতে তৎপর হবে। বইটি যুবকদের পড়া উচিত। ইয়াসারের কথাগুলো হৃদয়ঙ্গম করতে পারলে অনেক যুবকই ফিতনার অন্ধকার থেকে আলোতে ফিরতে পারবে।

    বইয়ের বর্ণনাভঙ্গি, সংলাপ উপস্থাপন অনেক সুন্দর। এক বসায় পড়ে ফেলার মতো ছোট একটা বই।

  5. Khairul Islam Anik

    যুবকদের জন্য উপযোগী একটি বই। আল্লহ সুবহা’নাহু তায়া’লা বলেছেন- নিশ্চয় শয়তানের ষড়যন্ত্র দুর্বল” [সূরা আন-নিসাঃ ৭৬] অপরদিকে
    নারীদের ষড়যন্ত্র তো ভীষণ/ভয়ানক। [সূরা ইউসূফঃ ২৮]। নবিজী যেমনটি ১৪০০ বছর আগে বলে গিয়েছেন সবচেয়ে ভয়ংকর ফিতনা হচ্ছে ‘নারী’। কিতাবে এসেছে একজন আল্লাহভীরু যুবক, যে ছিলো সমাজে অন্যদের জন্য উপমাসরূপ। দুনিয়ায় কোনো কিছুই সে যুবক আর আল্লাহর সাথে সম্পর্কে বাধা হতে পারেনি যতসময় না আসে সেই সুন্দরী অবলা ‘উপরে ফিটফাট,ভিতরে সদরঘাট’ টাইপের নারী। ফাদে পড়ে যায় নারীর ছলনায়,ঈবাদাতে মজা হারিয়ে ছটপট করতে থাকে অন্তর সে নারীর আশায়। অবশ্য নানান চড়াই উতরাই পেরিয়ে অবশেষে সেই যুবক পুনঃরায় আল্লাহুর রঙ্গে নিজেকে রঙিন করে প্রশান্ত করতে পেরেছে অন্তর।
    স্কুকপড়ুয়া ছাত্রদের জন্য অবশ্য পাঠযোগ্য, যেনো জীবনে অবৈধ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার পূর্ব সে বাস্তব ক্ষতিগুলো উপলব্ধি করে নিজের মেধা এবং চরিত্র হেফাজতে রাখতে পারে।

  6. MD: AIMAN

    আসসালামু ‘আলাইকুম দ্বীনি জনগণ।
    বইঃ শেষের অশ্রু।

    নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পুরুষের জন্য স্ত্রীজাতি(নারীজাতি) অপেক্ষা অধিক ক্ষতিকর কোন ফিতনা আমি রেখে গেলাম না। (বুখারি-৫০৯৬)

    হাদিসটি একজন মুসলমান তো বিশ্বাস করবেই সাথে সাথে এই জামানার একজন বিজাতীয় মানুষেরও এটি বিশ্বাস করার কথা। কারণ বর্তমান দুনিয়াতে ‘নারীজাতি’ সবচেয়ে আকর্ষণীয় বস্তু হিসেবে পরিণত হয়েছে।

    বহু দ্বীনি মানুষ তাদের দ্বীন থেকে ঝরে পড়ার জন্য সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা করেন ‘নারীজাতি’কে। এমনকি বহু দ্বীনি মানুষের পদস্খলন ঘটেছেও এই নারীজাতির জন্য।

    তাই আমাদের উচিত এই নারীজাতির ফিতনা থেকে দূরে থাকা। আর এর জন্য ‘শেষের অশ্রু’ বইটি হতে পারে একটি উত্তম ঔষধ। বইটির নামের সাথে কাজের মিল আছে। বইটি পড়তে গিয়ে পুরো সময় হয়তো না কাঁদলেও শেষে ঠিকই কেঁদেছি। বইটিতে একজন দ্বীনি পুরুষ মানুষ কিভাবে নারীর ফিতনায় পড়ে আবার ফিরে এসেছেন নীড়ে তা বাতলে দেওয়া হয়েছে। সাথে সাথে বইটিতে থাকছে আরো বহুমুখী শিক্ষা। আমি মনে করি, এ বয়টি বর্তমান পৃথিবীর সকল দ্বীনি মানুষের পড়া উচিত। বিশেষ করে যুবকদের।

Add a review

Your email address will not be published. Required fields are marked *